নিউজ ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানাসহ সারা দেশের ৬৩৩টি থানায় মোবাইল ট্র্যাকার স্থাপন করবে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্দেশ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের ঘটনার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করা।
প্রাথমিকভাবে মেট্রোপলিটন সিটি এবং জেলা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে এ সরঞ্জাম দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ট্র্যাকার কেনার প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এ বছরের মধ্যে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের দপ্তরে একটি করে ট্র্যাকার বসানো হবে। পর্যায়ক্রমে সব থানায় এ সরঞ্জাম দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা লাগবে।
বর্তমানে র্যাব, ডিবি ও পিবিআইসহ কয়েকটি আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থা মোবাইল ট্র্যাকার ব্যবহার করছে। একেকটি ট্র্যাকারের দাম দুই থেকে ১৪ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, মোবাইল ট্র্যাকার বসানো হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজ সহজ হবে এবং ভুক্তভোগীদের দুর্দশা অনেকাংশে কমবে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘প্রতিটি থানায় মোবাইল ট্র্যাকার বসানোর চেষ্টা চলছে। আমরা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। ট্র্যাকার থাকলে মামলা তদন্তের কাজ অনেক সহজ হবে। ’ তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আমরা যেসব দাবি উত্থাপন করছি তাতে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। ’
সূত্র জানায়, থানায় মোবাইল ট্র্যাকার বসলে মামলার তদন্তে পুলিশ আরো গতিশীল হবে। অধিকাংশ থানায় এ সরঞ্জাম নেই। ফলে মোবাইল ফোনে হুমকি প্রভৃতি অপরাধের ঘটনার তদন্তে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অপরাধী শনাক্ত করতে প্রচুর সময় লাগছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৯টি থানার বেশির ভাগেই মোবাইল ট্র্যাকার নেই। মামলা বা জিডি হলে থানা-পুলিশ ডিবির সহায়তা নেয়। মফস্বলের থানাগুলো মোবাইল ফোনে হুমকির মামলার বা জিডির তদন্তই করতে পারে না। অনেক জেলায় এসপির দপ্তরেও ট্র্যাকার নেই।
এবার পুলিশ সপ্তাহে কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দেশের সব থানায় মোবাইল ট্র্যাকার স্থাপন করা হলে মামলা বা জিডির তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী তাতে সায় দিয়েছেন। এরপর পুলিশ সদর দপ্তর ট্র্যাকার কেনার প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
পুলিশ সদরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, যন্ত্রগুলো কেনা হলে সাইবার অপরাধীদের শনাক্ত করা ও বিচারের সম্মুখীন করা সহজ হবে। ফৌজদারি মামলার তদন্ত, অপরাধী শনাক্ত করা ও গ্রেপ্তারের কাজেও সহায়তা পাওয়া যাবে।
পাঠকের মতামত